নিজস্ব প্রতিবেদক || বঙ্গ জার্নাল
মো : লেমনুজ্জামান একজন সফল উদ্যোক্তা, সফল ফ্রিল্যান্সার। তবে তার আজকের এই সফলতার চূড়ায় অবস্থান করা এতটাও সহজ ছিলো না। এর পেছনে রয়েছে অনেক ত্যাগ, ধৈর্যের পরীক্ষা, না ঘুমিয়ে রাত পার করে দেওয়ার মতো হার না মানা গল্পের কথা। ২০১১ সালে শুরু হয় ফ্রিল্যান্সিয়ের যাত্রা। আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগের তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান সময়ের মতো সহজলোভ্য ছিলো না। তবে মনোবল ছিলো অধিক, যা কারণে নিজের ক্যারিয়ার ফিল্যান্সি পেশায় যুক্ত করেছেন। যখন তিনি দেখলেন এই পেশায় সম্ভাবনার বৃহত্তর দুয়ার রয়েছে তখন তিনি চিন্তা করলেন এ দেশের বেকার তরুণ যুবক-যুবতীদের কথা। ২০১২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন 'নিউ সান ইনস্টিটিউট অব আইটি' নামের একটি আইটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে নাম মাত্র অর্থের বিনিময়ে বেকার অথবা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
একদিকে দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা যুক্ত করছেন অন্যদিকে এ পেশায় যুক্ত হতে বেকারদের উদ্বুদ্ধ করছেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রোজেক্টেও প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। বিশেষ করে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সাভার এ নিয়োমিত প্রশিক্ষাণ প্রদান করে আসছেন। এর মধ্যে নিজের অবস্থান গড়ে তোলেন ফিল্যান্সাদের মধ্যে। দেশ সেরা ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে জায়গা করে নেন তিনি।
২০১৬ সালে জাতীয় যুব পুরষ্কার দেওয়া হয় তার ফ্রিল্যান্সিয়ের মাধ্যমে বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ ও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার জন্য। এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান থেকে পুরষ্কার পেয়েছেন।
পুরষ্কারের ঝুড়িতে এবার যুক্ত হয়েছে বিদেশের সন্মাননা। গত ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি যুবদের নিয়ে কাজ করার জন্য এশিয়ার মধ্যে সেরাদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুতে। 'সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ এক্সসেন্স' শীর্ষক আয়োজিত সামিট ২০২৪ 'নিউ সান ইনস্টিটিউট অব আইটি' এবং নিউ সান ইয়ুথ ফাউন্ডেশন নিয়ে কাজ করা লেমনুজ্জামান পেয়েছেন সেরাদের পুরস্কার। দেশটির ডেপুটি স্পিকার এদিন তার হতে পুরষ্কার তুলে দেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রপ্তির বিষয় নিয়ে কথা হয় সফল এ উদ্যোক্তা ও ফ্যিল্যান্সার লেমনুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, পুরষ্কার প্রাপ্তি কাজের প্রতি আরও দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। কাজের গতিকে আরও গতিশীল করে। আশা করছি সামনের দিনগুলো আরও দায়িত্বনিয়ে বেকারদের নিয়ে কাজ করে যাবো।
লেমনুজ্জামান বলেন, ফ্যিল্যান্সিং পেশায় অনেকে আসতে চান তবে ধৈর্যের পরীক্ষা কেউ দিতে চান না। এ পেশায় কাজ করতে হলে প্রথমত কোনো একটি বিষয়ে বিস্তার জ্ঞান লাভ করতে হবে। এবং সেই বিষয়ে হাতে কলমে কাজ জানতে হবে। তবেই সে সফল হতে পারবে। যেহেতু ঘরে বসেই কাজ করা যায় তাই আমি আগ্রহীদের এ পেশায় আসার আহ্বান জানাচ্ছি। যারা আমার কাজে উৎসাহ দিয়ে আসছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ খান
নির্বাহী সম্পাদক : আল মাহমুদ খান তূর্য