নিজস্ব প্রতিবেদক | বঙ্গ জার্নাল | নেত্রকোণা
'সাম্প্রদায়িকতা ও বাণিজ্যিকীকরণ থেকে শিক্ষা-সংস্কৃতি রক্ষা কর' এই স্লোগান ধারণ করে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা সংসদের আয়োজনে ৬২তম শিক্ষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
দুর্গাপুর পৌর শহরের কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। পরে আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। এতে ছাত্র ইউনিয়নের দুর্গাপুর উপজেলা সংসদের সভাপতি নুরে আলম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সংসদের সাবেক সভাপতি আজহারুল হক মাসুম,ফরহাদ ইকবাল সরকার, রুপন কুমার সরকার, রফিক মিয়া,বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি নূর আলম, কবিরুল ইসলাম,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রমজান,শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।
আলোচনাকালে বক্তারা বলেন, ১৯৫২ থেকে ৭১ পর্যন্ত বাঙালি জাতি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে গৌরবগাঁথা আন্দোলন সংগ্রামের চতুর্থ স্তম্ভ এই শিক্ষা দিবস। তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরাশাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান শরিফ কমিশনের নেতৃত্বে একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন,যা ছাত্র সমাজ ও সচেতন সকলকে ব্যাপকভাবে বিক্ষুব্ধ করে তুলে। অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঢাকার রাজপথে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশের গুলিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন মোস্তফা,ওয়াজিউল্লাহ,বাবুল সহ নাম না জানা অনেকেই।আমরা জোর দাবি জানাই ১৭ই সেপ্টেম্বরকে জাতীয় শিক্ষা দিবস ঘোষণা করার জন্য। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের মর্যাদা দেওয়ার জন্য। তাদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে এবং তাদের কথা পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরে তরুণ প্রজন্মকে গৌরবগাঁথা জানানোর দাবি জানাই আমরা।
বঙ্গ জার্নাল | মামুন রণবীর / নেত্রকোণা
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ খান
নির্বাহী সম্পাদক : আল মাহমুদ খান তূর্য